https://thekoulal.wordpress.com কৌলাল ওয়েবসাইটেও পড়তে পারেন।আর দেখতে পারেন মনের মতো ছবি।
ভারতবর্ষের প্রত্নমানচিত্রে মঙ্গলকোট একটি উজ্জ্বল নাম।প্রায় ছয় বর্গ কিমি স্থানজুড়ে মঙ্গলকোটের প্রত্নস্থান।অন্যান্য গ্রামগুলি এই তালিকায় যুক্ত করলে বৃহত্তর মঙ্গলকোটের প্রত্নক্ষেত্র আরও বেড়ে যাবে।মঙ্গলকোটের পুরাসম্পদগুলি শৌখিন পুরাসংগ্রাহক বা ক্ষেত্রসমীক্ষকরা অনেকদিন আগে থেকে সংগ্রহ করে চলেছেন।এককড়ি দাস ,প্রয়াত কেশবচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়,মুহম্মদ আয়ুব হোসেন আসরাফ আলি প্রমুখদের নাম সর্বাগ্রে উল্লেখ্য।
এই ধারায় আর এক উজ্জ্বল নাম মুন্সি জিয়াউর রহমান।লোকে একডাকে চেনে সম্রাট মুন্সি নামে।শিক্ষব্রতী ও সমাজসেবী।আর সংগ্রহ করে চলেছেন পরশপাথর এই প্রত্নরত্ন।মঙ্গলকোটের ভূমি-সন্তান হওয়ার কারণে ছোট থেকেই সংগ্রহ করছেন এসব অমূল্য প্রত্নসম্পদ।তিনি চান প্রত্নতীর্থ মঙ্গলকোটে হোক পুরামিউজিয়াম।এখানেই তিনি দান করতে চান যখের সম্পত্তির মত আগলিয়ে রাখা প্রত্নরত্নগুলি।তাঁর সংগৃহীত প্রত্নসম্পদের কথা তিনি নিজেই লিখেছেন --কৌলাল অনলাইন ওয়েবসাইটে।প্রতি রবিবার প্রকাশিত হবে সেই অমৃতসমান প্রত্নকথন।
নমস্কার! আমি সম্রাট মুন্সি।কৌলাল ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগত।প্রথমেই বলি আমি ঐতিহাসিক বা প্রত্নবিশেষজ্ঞ নই।প্রত্নপ্রেমিক বলতে পারেন।খ্যাপার মতো খুঁজে ফিরি পরশপাথর সন্ধানে।আপনারা জানেন প্রত্নক্ষেত্র হিসাবে মঙ্গলকোট বিশ্বহেরিটেজের তালিকায় অন্তুর্ভুক্তি হবার দাবি রাখে।কারণ তাম্রাশ্মীয় যুগ থেকে সাম্প্রতিক যুগ পর্যন্ত মঙ্গলকোটে ধারাবাহিক জনবসতির প্রমাণ মিলেছে।আজ আপনাদের দেখাবো কয়েকটি গুরু্ত্বপূর্ণ পুরাবস্তু। আশারাখি আপনারা মতামত দেবেন।আমি শুধু বিবরণটুকু দিয়ে যাবো।
মূর্তি
এই মূর্তিটি কালো পাথরের।প্রাপ্তিস্থান মঙ্গলোকোট।উচ্চতা প্রায় ছয় ইঞ্চি।তবে ভাঙাচোরা।উচ্চতা আরও ছিল নিঃসন্দেহে।দম্পতি মূর্তি।যেন হরগৌরী বসে আছেন।গৌরীর কোলে সন্তান।কার্তিক অথবা শিশু গণেষ।নীচে পাদপীঠে ভক্ত।আবার অনেকেই বলেন এটি জৈনতীর্থঙ্করদের মূর্তি।এর বেশি কিছু বুঝিনি।আপনারা যদি এই বিষয়ে আলোকপাত করেন আমরা সাধারণ পুরাপ্রেমীরা খুশি হবো।
জলপ্রদীপ
মঙ্গলকোটে প্রচুর কালোরঙের মাটির জলপ্রদীপ মিলেছে।এগুলি ভিতরে ফাঁপা।উপরে তেল সলতে থাকতো।মূলত পুজোর সময় পুরোহিতের হাতে যাতে ছ্যাঁকা না লাগে তার জন্য এই ব্যবস্থা ছিল।এগুলি অনেকের মতে কুষাণ যুগের প্রদীপ।
মুদ্রা
মঙ্গলকোটে প্রচুর মুদ্রা মিলেছে।কপার কাস্ট কয়েন থেকে শুরু করে বিবিধ ঐতিহাসিক যুগের মুদ্রা।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সুলতানি বা মোঘল আমলের মুদ্রা।একটি গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার ছবি এখানে দিলাম।কিন্তু মুদ্রালেখ সম্পর্কে জানতে পারিনি।আপনারা যদি এ বিষয়ে আলোকপাত করেন।খুবই আনন্দ পাবো।আজ এই পর্যন্ত।আবার আগামি রবিবার।নমস্কার সালাম।ভালো থাকবেন।
প্রত্নসম্রাটঃ কলমে ক্যামেরায়
ভারতবর্ষের প্রত্নমানচিত্রে মঙ্গলকোট একটি উজ্জ্বল নাম।প্রায় ছয় বর্গ কিমি স্থানজুড়ে মঙ্গলকোটের প্রত্নস্থান।অন্যান্য গ্রামগুলি এই তালিকায় যুক্ত করলে বৃহত্তর মঙ্গলকোটের প্রত্নক্ষেত্র আরও বেড়ে যাবে।মঙ্গলকোটের পুরাসম্পদগুলি শৌখিন পুরাসংগ্রাহক বা ক্ষেত্রসমীক্ষকরা অনেকদিন আগে থেকে সংগ্রহ করে চলেছেন।এককড়ি দাস ,প্রয়াত কেশবচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়,মুহম্মদ আয়ুব হোসেন আসরাফ আলি প্রমুখদের নাম সর্বাগ্রে উল্লেখ্য।
এই ধারায় আর এক উজ্জ্বল নাম মুন্সি জিয়াউর রহমান।লোকে একডাকে চেনে সম্রাট মুন্সি নামে।শিক্ষব্রতী ও সমাজসেবী।আর সংগ্রহ করে চলেছেন পরশপাথর এই প্রত্নরত্ন।মঙ্গলকোটের ভূমি-সন্তান হওয়ার কারণে ছোট থেকেই সংগ্রহ করছেন এসব অমূল্য প্রত্নসম্পদ।তিনি চান প্রত্নতীর্থ মঙ্গলকোটে হোক পুরামিউজিয়াম।এখানেই তিনি দান করতে চান যখের সম্পত্তির মত আগলিয়ে রাখা প্রত্নরত্নগুলি।তাঁর সংগৃহীত প্রত্নসম্পদের কথা তিনি নিজেই লিখেছেন --কৌলাল অনলাইন ওয়েবসাইটে।প্রতি রবিবার প্রকাশিত হবে সেই অমৃতসমান প্রত্নকথন।
মঙ্গলকোটের প্রত্নরত্ন
নমস্কার! আমি সম্রাট মুন্সি।কৌলাল ওয়েবসাইটে আপনাদের স্বাগত।প্রথমেই বলি আমি ঐতিহাসিক বা প্রত্নবিশেষজ্ঞ নই।প্রত্নপ্রেমিক বলতে পারেন।খ্যাপার মতো খুঁজে ফিরি পরশপাথর সন্ধানে।আপনারা জানেন প্রত্নক্ষেত্র হিসাবে মঙ্গলকোট বিশ্বহেরিটেজের তালিকায় অন্তুর্ভুক্তি হবার দাবি রাখে।কারণ তাম্রাশ্মীয় যুগ থেকে সাম্প্রতিক যুগ পর্যন্ত মঙ্গলকোটে ধারাবাহিক জনবসতির প্রমাণ মিলেছে।আজ আপনাদের দেখাবো কয়েকটি গুরু্ত্বপূর্ণ পুরাবস্তু। আশারাখি আপনারা মতামত দেবেন।আমি শুধু বিবরণটুকু দিয়ে যাবো।
মূর্তি
এই মূর্তিটি কালো পাথরের।প্রাপ্তিস্থান মঙ্গলোকোট।উচ্চতা প্রায় ছয় ইঞ্চি।তবে ভাঙাচোরা।উচ্চতা আরও ছিল নিঃসন্দেহে।দম্পতি মূর্তি।যেন হরগৌরী বসে আছেন।গৌরীর কোলে সন্তান।কার্তিক অথবা শিশু গণেষ।নীচে পাদপীঠে ভক্ত।আবার অনেকেই বলেন এটি জৈনতীর্থঙ্করদের মূর্তি।এর বেশি কিছু বুঝিনি।আপনারা যদি এই বিষয়ে আলোকপাত করেন আমরা সাধারণ পুরাপ্রেমীরা খুশি হবো।
জলপ্রদীপ
মঙ্গলকোটে প্রচুর কালোরঙের মাটির জলপ্রদীপ মিলেছে।এগুলি ভিতরে ফাঁপা।উপরে তেল সলতে থাকতো।মূলত পুজোর সময় পুরোহিতের হাতে যাতে ছ্যাঁকা না লাগে তার জন্য এই ব্যবস্থা ছিল।এগুলি অনেকের মতে কুষাণ যুগের প্রদীপ।
মুদ্রা
মঙ্গলকোটে প্রচুর মুদ্রা মিলেছে।কপার কাস্ট কয়েন থেকে শুরু করে বিবিধ ঐতিহাসিক যুগের মুদ্রা।এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো সুলতানি বা মোঘল আমলের মুদ্রা।একটি গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার ছবি এখানে দিলাম।কিন্তু মুদ্রালেখ সম্পর্কে জানতে পারিনি।আপনারা যদি এ বিষয়ে আলোকপাত করেন।খুবই আনন্দ পাবো।আজ এই পর্যন্ত।আবার আগামি রবিবার।নমস্কার সালাম।ভালো থাকবেন।